আল্লাহ্ সাক্ষ্য দেন [১] যে, নিশ্চয় তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ্ নেই। আর ফেরেশতাগণ এবং জ্ঞানীগণও; আল্লাহ্ ন্যায়নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছাড়া অন্য কোন সত্য ইলাহ নেই, (তিনি) পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
____________________
[১] অর্থাৎ যে আল্লাহ্ বিশ্ব জাহানের সমস্ত তত্ত্ব, সত্য ও রহস্যের প্রত্যক্ষ জ্ঞান রাখেন, যিনি সমগ্র সৃষ্টিকে আবরণহীন অবস্থায় দেখছেন এবং যার দৃষ্টি থেকে পৃথিবী ও আকাশের কোন একটি বস্তুও গোপন নেই এটি তার সাক্ষ্য। আর তার চেয়ে নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য আর কে দিতে পারে? কারণ পৃথিবীতে ইলাহের স্বত্ব দাবী করার অধিকার ও যোগ্যতা কারও নেই। তিনি নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ব্যতীত আর কোন হক্ক ইলাহ নেই। তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করা যুলুম ও অন্যায়। আল্লাহ্ তা'আলার এ সাক্ষ্যের সাথে তিনি আল্লাহ্ তাঁর ফেরেশতাদেরকেও শরীক করেছেন। তারাও এ মহৎ সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা আলেম তথা দ্বীনের জ্ঞানে জ্ঞানীদেরকেও এ সাক্ষ্য প্রদানের জন্য গ্রহণ করে সম্মানিত করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত: আলেম তথা দ্বীনের জ্ঞানে জ্ঞানীদের সম্মান বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। [ইবনুল কাইয়্যেম: মিফতাহু দারিস সা’আদাহ; তাফসীরে সা’দী]
____________________
[১] অর্থাৎ যে আল্লাহ্ বিশ্ব জাহানের সমস্ত তত্ত্ব, সত্য ও রহস্যের প্রত্যক্ষ জ্ঞান রাখেন, যিনি সমগ্র সৃষ্টিকে আবরণহীন অবস্থায় দেখছেন এবং যার দৃষ্টি থেকে পৃথিবী ও আকাশের কোন একটি বস্তুও গোপন নেই এটি তার সাক্ষ্য। আর তার চেয়ে নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য আর কে দিতে পারে? কারণ পৃথিবীতে ইলাহের স্বত্ব দাবী করার অধিকার ও যোগ্যতা কারও নেই। তিনি নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ব্যতীত আর কোন হক্ক ইলাহ নেই। তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করা যুলুম ও অন্যায়। আল্লাহ্ তা'আলার এ সাক্ষ্যের সাথে তিনি আল্লাহ্ তাঁর ফেরেশতাদেরকেও শরীক করেছেন। তারাও এ মহৎ সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা আলেম তথা দ্বীনের জ্ঞানে জ্ঞানীদেরকেও এ সাক্ষ্য প্রদানের জন্য গ্রহণ করে সম্মানিত করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত: আলেম তথা দ্বীনের জ্ঞানে জ্ঞানীদের সম্মান বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। [ইবনুল কাইয়্যেম: মিফতাহু দারিস সা’আদাহ; তাফসীরে সা’দী]
الترجمة البنغالية
১৮. আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যাপারে নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি হলেন ইবাদাতের উপযুক্ত সত্যিকারের মা’বূদ; আর কেউ নয়। এটা এ জন্য যে, তিনি তাঁর উপাস্য হওয়ার ব্যাপারে ধর্মীয় ও বৈষয়িক অনেকগুলো প্রমাণ দাঁড় করিয়েছেন। একইভাবে ফিরিশতারা এবং জ্ঞানবান লোকেরাও এ ব্যাপারে সাক্ষী। বস্তুতঃ তারা মহান সাক্ষ্যযোগ্য একটি বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছে। আর তা হলো এই যে, তিনি একক ও অদ্বিতীয়, তাঁর দেয়া শরীয়তের বিধি-বিধান শাশ্বত ও সার্বজনীন এবং সকল সৃষ্টির ব্যাপারে তাঁর ব্যবস্থাগ্রহণ সর্ববিচারে ইনসাফপূর্ণ। তিনি ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই। তিনি হলেন পরাক্রমশালী; তাঁকে কেউ পরাজিত করতে পারে না। তিনি তাঁর শরীয়ত, পরিচালনা ও সৃষ্টির ব্যাপারে অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়।
الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم