নিশ্চয় ইবরাহীম ছিলেন এক উম্মাত [১], আল্লাহ্র একান্ত অনুগত, একনিষ্ঠ [২] এবং তিনি ছিলেন না মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত;
____________________
[১] এ আয়াতে (امة) বা উম্মত শব্দটি কয়েকটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর প্রসিদ্ধ অর্থ দল ও সম্প্রদায়। মুজাহিদ রাহিমাহুল্লাহ এখানে এ অর্থই গ্রহণ করেছেন। [ইবন কাসীর] তখন অর্থ হবে, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম একাই এক ব্যক্তি, এক সম্প্রদায় ও কওমের গুণাবলী ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিলেন। অর্থাৎ তিনি একাই ছিলেন একটি উম্মাতের সমান। যখন দুনিয়ায় কোন মুসলিম ছিল না তখন একদিকে তিনি একাই ছিলেন ইসলামের পতাকাবাহী এবং অন্যদিকে সারা দুনিয়ার মানুষ ছিল কুফরীর পতাকাবাহী। আল্লাহর এ একক বান্দাই তখন এমন কাজ করেন যা করার জন্য একটি উম্মাতের প্রয়োজন ছিল। তিনি এক ব্যক্তি মাত্র ছিলেন না,ব্যক্তির মধ্যে তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। উম্মত' শব্দের আরেক অর্থ হচ্ছে জাতির অনুসৃত নেতা ও গুণাবলীর আধার এবং যিনি মানুষকে কল্যাণের শিক্ষা দেন। অধিকাংশ মুফাসসির এখানে এ অর্থই নিয়েছেন। [তাবারী; বাগভী; কুরতুবী ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর] মাসরুক রাহেমাহুল্লাহ বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে এ আয়াত পড়লে তিনি আমাকে বললেনঃ মু'আয ছিলো (اُمَّةً قَانِتًا لِّلّٰهِ) এ কথা তিনি বারবার বললেন। শেষে বললেনঃ তোমরা কি (امة) শব্দের অর্থ জান? যিনি মানুষকে ভাল ও কল্যাণ শিক্ষা দেয়। আর (قانت) হলো যিনি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। মুস্তাদরাকে হাকেমঃ ২/৩৫৮]
[২] ইবরাহীম আলাইহিসসালাম অনুগত-আজ্ঞাবহ এবং একনিষ্ঠ এ উভয় গুণেই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন সবার অনুসৃত ব্যক্তিত্ব, সমগ্র বিশ্বের প্রসিদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এক বাক্যে তার প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং তার দ্বীনের অনুসরণকে সম্মান ও গৌরবের বিষয় মনে করে। ইয়াহুদী, নাসারা ও মুসলিমরা তো তার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রাখেই, আরবের মুশরিকরা মূর্তিপূজা সত্বেও এ মূর্তিসংহারকের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার দ্বীনের অনুসরণকে গর্বের বিষয় গণ্য করত।
____________________
[১] এ আয়াতে (امة) বা উম্মত শব্দটি কয়েকটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর প্রসিদ্ধ অর্থ দল ও সম্প্রদায়। মুজাহিদ রাহিমাহুল্লাহ এখানে এ অর্থই গ্রহণ করেছেন। [ইবন কাসীর] তখন অর্থ হবে, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম একাই এক ব্যক্তি, এক সম্প্রদায় ও কওমের গুণাবলী ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিলেন। অর্থাৎ তিনি একাই ছিলেন একটি উম্মাতের সমান। যখন দুনিয়ায় কোন মুসলিম ছিল না তখন একদিকে তিনি একাই ছিলেন ইসলামের পতাকাবাহী এবং অন্যদিকে সারা দুনিয়ার মানুষ ছিল কুফরীর পতাকাবাহী। আল্লাহর এ একক বান্দাই তখন এমন কাজ করেন যা করার জন্য একটি উম্মাতের প্রয়োজন ছিল। তিনি এক ব্যক্তি মাত্র ছিলেন না,ব্যক্তির মধ্যে তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। উম্মত' শব্দের আরেক অর্থ হচ্ছে জাতির অনুসৃত নেতা ও গুণাবলীর আধার এবং যিনি মানুষকে কল্যাণের শিক্ষা দেন। অধিকাংশ মুফাসসির এখানে এ অর্থই নিয়েছেন। [তাবারী; বাগভী; কুরতুবী ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর] মাসরুক রাহেমাহুল্লাহ বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে এ আয়াত পড়লে তিনি আমাকে বললেনঃ মু'আয ছিলো (اُمَّةً قَانِتًا لِّلّٰهِ) এ কথা তিনি বারবার বললেন। শেষে বললেনঃ তোমরা কি (امة) শব্দের অর্থ জান? যিনি মানুষকে ভাল ও কল্যাণ শিক্ষা দেয়। আর (قانت) হলো যিনি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। মুস্তাদরাকে হাকেমঃ ২/৩৫৮]
[২] ইবরাহীম আলাইহিসসালাম অনুগত-আজ্ঞাবহ এবং একনিষ্ঠ এ উভয় গুণেই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন সবার অনুসৃত ব্যক্তিত্ব, সমগ্র বিশ্বের প্রসিদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এক বাক্যে তার প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং তার দ্বীনের অনুসরণকে সম্মান ও গৌরবের বিষয় মনে করে। ইয়াহুদী, নাসারা ও মুসলিমরা তো তার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রাখেই, আরবের মুশরিকরা মূর্তিপূজা সত্বেও এ মূর্তিসংহারকের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার দ্বীনের অনুসরণকে গর্বের বিষয় গণ্য করত।
الترجمة البنغالية
১২০. নিশ্চয়ই ইব্রাহীম (আলাইহিস-সালাম) ছিলেন সকল কল্যাণকর বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, সর্বদা তাঁর প্রতিপালকের আনুগত্যকারী ও সকল ধর্মকে বাদ দিয়ে কেবল ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তিনি কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم