আর বলুন, ‘সত্য তোমাদের রব-এর কাছ থেকে; কাজেই যার ইচ্ছে ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছে কুফরী করুক।’ নিশ্চয় আমরা যালেমদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি আগুন, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, য তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে; এটা নিকৃষ্ট পানীয়! আর জাহান্নাম কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল [১] !
____________________
[১] সূরা আল-ফুরকানের ৬৬ নং আয়াতেও অনুরূপ কাফেরদের শেষ আবাসস্থান সম্পর্কে অনুরূপ উক্তি করা হয়েছে।
____________________
[১] সূরা আল-ফুরকানের ৬৬ নং আয়াতেও অনুরূপ কাফেরদের শেষ আবাসস্থান সম্পর্কে অনুরূপ উক্তি করা হয়েছে।
الترجمة البنغالية
২৯. হে রাসূল! আপনি গাফিল অন্তরের দরুন আল্লাহর স্মরণে অমনোযোগী লোকদেরকে বলুন: আমি তোমাদের নিকট যা নিয়ে এসেছি তা নিশ্চিত সত্য। সেটি মূলতঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে; আমার পক্ষ থেকে নয়। মু’মিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য তোমাদের আহŸানে আমি সাড়া দিচ্ছি না। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে চায় এ সত্যের উপর ঈমান আনতে সে যেন তার উপর ঈমান আনে। সে অচিরেই তার প্রতিদান পেয়ে খুশি হবে। আর তোমাদের মধ্যে যে চায় এ সত্যকে অস্বীকার করতে সে যেন তা অস্বীকার করে। সে অচিরেই আসন্ন শাস্তি পেয়ে নিজের মাঝে চরম অশান্তি ও কষ্ট অনুভব করবে। নিশ্চয়ই যারা কুফরিকে বেছে নিয়ে নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে আমি তাদের জন্য আগুনের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। যার সীমানা প্রাচীর তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখবে। তারা সেখান থেকে কিছুতেই পালাতে পারবে না। যদি তারা কঠিন তৃষ্ণায় পানির সাহায্য চায় তখন তাদেরকে ময়লাযুক্ত তেলের ন্যায় অত্যন্ত গরম পানি দিয়ে সাহায্য করা হবে। যা অত্যধিক গরমের দরুন তাদের চেহারাগুলোকে একেবারেই ঝলসে দিবে। এ পানীয় কতোই না নিকৃষ্ট যা দ্বারা তাদেরকে সাহায্য করা হবে। মূলতঃ তা তাদের তৃষ্ণা মিটাবে না বরং আরো বাড়িয়ে দিবে। এমনিভাবে যে অগ্নিশিখা ও উত্তাপ তাদের চামড়াগুলোকে ঝলসিয়ে দিচ্ছিলো তাকেও নিভিয়ে দিবে না। কতোই না নিকৃষ্ট সেই আগুনের ঘর যাতে তারা অবতরণ করবে! আর কতোই না নিকৃষ্ট সেই জায়গা যাতে তারা অবস্থান করবে!
الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم