ইয়াহুদীদের মধ্যে কিছু লোক কথাগুলো স্থানচ্যুত করে বিকৃত করে [১] এবং বলে, ‘শুনলাম ও অমান্য করলাম’ এবং শোনে না শোনার মত; আর নিজেদের জিহবা কুঞ্চিত করে এবং দ্বীনের প্রতি তাচ্ছিল্য করে বলে, ‘রাইনা’ [২]। কিন্তু তারা যদি বলত, ‘শুনলাম ও মান্য করলাম এবং শুনুন ও আমাদের প্রতি লক্ষ্য করুন’, তবে তা তাদের জন্য ভাল ও সঙ্গত হত। কিন্তু তাদের কুফরীর জন্য আল্লাহ তাদেরকে লা’নত করেছেন। ফলে তাদের অল্প সংখ্যকই ঈমান আনে।
____________________
[১] অর্থাৎ ইয়াহুদীরা তাওরাতে বর্ণিত আল্লাহর হুদুদসমূহ বিকৃত করত। [আততাফসীরুস সহীহ]
[২] সূরা আল-বাকারাহ এর ১০৪ নং আয়াতে এ শব্দের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মূলত: বাক্যটি দ্ব্যর্থবোধক। তারা এটাকে খারাপ অর্থে ব্যবহার করত।
____________________
[১] অর্থাৎ ইয়াহুদীরা তাওরাতে বর্ণিত আল্লাহর হুদুদসমূহ বিকৃত করত। [আততাফসীরুস সহীহ]
[২] সূরা আল-বাকারাহ এর ১০৪ নং আয়াতে এ শব্দের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মূলত: বাক্যটি দ্ব্যর্থবোধক। তারা এটাকে খারাপ অর্থে ব্যবহার করত।
الترجمة البنغالية
৪৬. ইহুদিদের মাঝে একটি নিকৃষ্ট সম্প্রদায় রয়েছে যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বাণীকে পরিবর্তন করে। তারা আল্লাহর নাযিলকৃত উদ্দেশ্যের বিপরীতে তার ব্যাখ্যা দেয়। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন তাদেরকে কোন কিছুর আদেশ করেন তখন তারা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলে: আমরা আপনার কথা শুনেছি ও আপনার আদেশ অমান্য করেছি। তারা ঠাট্টাচ্ছলে আরো বলে: আপনি আমাদের কথা শুনুন। আপনি যেন না শুনেন! তারা رَاعِنَا “রা-য়িনা” বলে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে এ ধারণা দিতে চাচ্ছে যে, তারা বুঝাচ্ছে আপনি আমাদের কথা শুনুন। অথচ তারা এর মাধ্যমে রুক্ষতার অর্থই বুঝাচ্ছে। তারা এ শব্দটি বলতে গিয়ে নিজেদের জিহŸাগুলোকে একটু বাঁকা করে বলে। তারা এর মাধ্যমে মূলতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর বদদু‘আ করে এবং ধর্মকে আঘাত করার ইচ্ছা পোষণ করে। তারা যদি এ কথা তথা “আমরা আপনার কথা শুনেছি ও আপনার বিরুদ্ধাচরণ করেছি” এর পরিবর্তে বলতো: “আমরা আপনার কথা শুনেছি এবং আপনার আদেশ মেনে নিয়েছি”। তেমনিভাবে এ কথা তথা “আপনি শুনুন, আপনি যেন না শুনেন!” এর পরিবর্তে বলতো: “আপনি আমাদের কথা শুনুন”। অনুরূপভাবে এ কথা তথা “আপনি আমাদের সাথে রুক্ষতার আচরণ করুন” এর পরিবর্তে “আপনি একটু অপেক্ষা করুন; আমরা যেন আপনার কথাটুকু বুঝতে পারি” তাহলে তা তাদের পূর্বের কথা থেকে তাদের জন্য অনেক ইনসাফপূর্ণ ও কল্যাণকর হতো। কারণ, তাতে রয়েছে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সম্মানের উপযুক্ত উত্তম শিষ্টাচার। তবে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে লা’নত করেছেন এবং তাদের কুফরির দরুন তাদেরকে তাঁর রহমত থেকে বিতাড়িত করেছেন। তাই তারা তাদের জন্য লাভজনক এমন কোন ঈমান আনেনি।
الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم